হাই এলে যথাসম্ভব চেপে রাখা কিংবা হাত দিয়ে প্রতিহত করা সুন্নাত।
এর দলীল হচ্ছে:
আবু হুরাইরা রা. এর হাদীস। নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা হাঁচি পছন্দ করেন, হাই অপছন্দ করেন। সুতরাং কেউ যদি হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে, যে কোনো মুসলিমের সেটা শুনে জবাব দেয়া উচিত। কিন্তু হাই আসে শয়তানের পক্ষ থাকে। তাই সাধ্যমতো সেটা প্রতিহত করা উচিত। মানুষ যখন হাই তোলার জন্য ‘হা’ করে, তখন শয়তান হাসতে থাকে’। (বুখারী ২৬৬৩)
সহীহ মুসলিমে আবু সাঈদ রা. এর হাদীসে এসেছে- নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘তোমাদের কারও যখন হাই আসে, তখন হাত দিয়ে যেন মুখ চেপে রাখে। কেননা তখন তাতে শয়তান প্রবেশ করে’। (মুসলিম ২৯৯৫)
সুতরাং হাই প্রতিহত করা কাম্য। মুখ যথাসাধ্য বন্ধ করে হোক, দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে হোক কিংবা মুখের ওপর হাত দিয়ে হোক- যে কোনোভাবেই সেটা প্রতিহত করার চেষ্টা করতে হবে।
প্রতিহত করার সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে হাই যদি এসেই পড়ে, তখন উচিত হলো আওয়াজ না করা।
প্রতিহত করার সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে হাই যদি এসেই পড়ে, তখন উচিত হলো আওয়াজ না করা। কেননা মানুষ যখন হাই তোলার সময় ‘হা’ অথবা ‘আহ’ কিংবা এজাতীয় আওয়াজ করে, তখন শয়তান হাসে।
এর দলীল হচ্ছে:
আবু হুরাইরা রা. এর হাদীস। নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘হাই শয়তানের পক্ষ থেকে। সুতরাং যখন তোমাদের কারও হাই আসে, তখন যেন সাধ্যমতো সেটা প্রতিহত করে। কেননা যখন কেউ হাই তোলার সময় ‘হা’ বলে, তখন শয়তান হাসতে থাকে’। (বুখারী ৩২৯৮, মুসলিম ২৯৯৪)
সতর্কতা:
অনেকে হাই তোলার পরে ‘আঊযুবিল্লাহ’ বলতে অভ্যস্ত। অথচ কুরআন হাদীসে এর কেনো প্রমাণ নেই; বরং এটা সুন্নাতের খিলাফ বলেই প্রমাণ পাওয়া যায়। কেননা এখানে এমন একটা দুআর পদ্ধতি আবিস্কার করা হচ্ছে, যেটা আল্লাহর রাসূল থেকে প্রমাণিত নয়।