পেছনে ‘সুনানে রাতিবা’র আলোচনাকালেই আমরা বলে এসেছি যে, জোহরে মোট ৬ রাকাআত সুন্নাত রয়েছে। ফরজের আগে চার রাকাআত আর পরে দুই রাকাআত। দলীল আয়েশা রা., উম্মে হাবীবা, ইবনে উমর রা. এর হাদীস।
জোহরের নামাজের প্রথম রাকাআত লম্বা করা সুন্নাত।
দলীল আবু সাঈদ খুদরী রা. এর হাদীস। তিনি বলেন, ‘জোহরের নামাজ দাঁড়িয়ে যাওয়ার পরে কোনো ব্যক্তি বাকী কবরস্থানে গিয়ে হাজত পূরণ করে অজু করে এসেও নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে প্রথম রাকাআতে পেতো, দীর্ঘ হওয়ার কারণে’। (মুসলিম ৪৫৪)
সুতরাং ইমামের জন্য জোহরের প্রথম রাকাআত লম্বা করা সুন্নাত। মুনফারিদ তথা একাকী নামাজ আদায়কারী পুরুষ ও মহিলার জন্যও একই বিধান। আফসোসের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, এই সুন্নাতটি আমাদের সমাজে আজকে বিলুপ্ত। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে পরিপূর্ণরূপে সুন্নাতের বাস্তবায়ন ও সুন্নাতের প্রতি অনুরাগের তাওফীক দিন।
প্রচণ্ড উত্তাপের সময় তাপ কমা পর্যন্ত দেরি করে জোহরের নামাজ আদায় করা সুন্নাত।
এর দলীল হচ্ছে:
আবু হুরাইরা রা. এর মারফূ হাদীস: ‘যখন তাপ প্রখর হয়, দেরি করে ঠাণ্ডা হলে নামাজ পড়ো। কেননা তাপের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের উত্তপ্ততার কারণে তৈরি হয়’। ( বুখারী ৫৩৪, ৫৩৩, মুসলিম ৬১৫)
শাইখ ইবনে উসাইমীন বলেন, ‘যদি আমরা ধরে নিই যে গ্রীষ্মের সময় সূর্য বারোটার দিকে ঢলে পড়ে আর আসরের ওয়াক্ত হয় প্রায় সাড়ে চারটার সময়, সে হিসেবে জোহর আদায়ের সুন্নাত সময় হবে বিকাল ৪ টার আগ পর্যন্ত’। (মুমতি’ ২/১০৪)
বিশুদ্ধ বক্তব্য অনুযায়ী জামাআতের সঙ্গে কিংবা একাকী নামাজ আদায়কারী সকলের জন্যই দেরি করে জোহরের সালাত আদায় করা সুন্নাত। ইবনে উসাইমীন র. এর মতও এটাই। সে হিসেবে নারীদের জন্যও এটা সুন্নাত। কারণ আবু হুরাইরা রা. এর হাদীসে কোনো সীমাবদ্ধতা রাখা হয়নি। হাদীসটি ব্যাপক।