brightness_1
ঘরে প্রবেশের সময় সালাম দেয়া সুন্নাত।
সর্বাবস্থায় সালাম দেয়া সুন্নাত তাই এখানেও দিবে। তবে সেটা হবে মিসওয়াক করার পরে। কারণ ঘরে প্রবেশের আগে মিসওয়াক করা সুন্নাত। আমরা আগে বলেছিলাম বেশকিছু জায়গায় মিসওয়াক সুন্নাত হওয়াটা সুপ্রমাণিত। এর ভেতরে একটা হলো ঘরে প্রবেশেয় সময়। সহীহ মুসলিমে আয়েশা রা. এর হাদীসে এসেছে তিনি বলেন, ‘নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ঘরে প্রবেশ করতেন, সর্বপ্রথম মিসওয়াক করতেন’। (মুসলিম ২৪৩) সুতরাং প্রথমে মিসওয়াক করে, ঘরে প্রবেশ করে সালাম দিবে। কোনো কোনো উলামায়ে কিরাম বলেছেন, যে কোনো ঘরে প্রবেশ করলেই সালাম দেয়া সুন্নাত। চাই তাতে কেউ থাকুক বা না থাকুক। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যখন তোমরা ঘরে প্রবেশ করো তোমাদের নিজেদের ওপর সালাম দাও। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে মুবারক ও পবিত্র সম্ভাষণ। এভাবেই আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ বর্ণনা করে দেন যাতে তোমরা বুঝতে পারো’। (নূর:৬১)
ইবনে হাজার র. বলেন, ‘সালামের প্রচার-প্রসার ঘটানোর ব্যাপক নির্দেশনা রয়েছে শরীয়তে। এই নির্দেশনার ভেতরে ঘরে ঢোকার সময় নিজের ওপর সালাম দেয়াও অন্তর্ভুক্ত। দলীল আল্লাহ তাআলার বাণী ‘অতঃপর যখন তোমরা ঘরে প্রবেশ করো, তখন নিজেদের ওপর সালাম দাও’। ( দেখুন ফাতহুল বারী হাদীস নং ৬২৩৫, সালামের প্রচার অধ্যায়)
ফায়েদা: পেছনের আলোচনা দ্বারা বোঝা গেলো, ঘরে প্রবেশের সময় তিনটি সুন্নাত রয়েছে:
এক. আল্লাহর নাম নেয়া। বিশেষ করে রাতের বেলা।
দলীল জাবের বিন আব্দুল্লাহ রা. এর হাদীস। তিনি নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেন, ‘যখন কোনো ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করে। প্রবেশের সময় এবং খেতে বসার সময় আল্লাহর নাম নেয়। তখন শয়তান বলে, আজকে তোমাদের রাত-যাপন ও খাওয়া শেষ। আর যদি ঘরে প্রবেশের সময় আল্লাহর নাম না নেয়, তখন শয়তান বলে, রাত-যাপনের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। আবার যখন খাওয়ার সময়ও আল্লাহর নাম না নেয়, তখন শয়তান বলে, খাওয়ার ব্যবস্থাও হয়ে গেছে’। (মুসলিম ২০১৮)
দুই. মিসওয়াক করা। দলীল আয়েশা রা. এর পেছনে উল্লিখিত হাদীস।
তিন. গৃহবাসীদের সালাম দেয়া।