brightness_1
রাসূলের সুন্নাহতে যিকিরের অসংখ্য পদ্ধতি এসেছে। তন্মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে: (২)
৩. সা’দ বিন ওয়াক্কাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে বসা ছিলাম। তখন তিনি বললেন, ‘তোমাদের কেউ কি প্রত্যেক দিন এক হাজার নেকী কামাতে অক্ষম’? তখন একজন জিজ্ঞাসা করলো: কীভাবে এক হাজার নেকী কামাবে হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, ‘এক শত বার আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করবে, তাহলে তার জন্য এক হাজার নেকী লেখা হবে। অথবা এক হাজার গোনাহ মুছে দেয়া হবে’। (মুসলিম ২৬৯৮)
৪. আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন একশত বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ পাঠ করবে, সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হলেও তার গোনাহগুলো মুছে দেয়া হবে’। (বুখারী ৬৪০৫, মুসলিম ২৬৯২) সহীহ মুসলিমের একটি বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সকাল বেলা ও সন্ধ্যা বেলা একশত বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ যিকির করবে, এটা একশত বার কিংবা আরও বেশি যিকিরকারী ব্যতীত আর কেউ কিয়ামতের দিন তার চেয়ে উত্তম আমল নিয়ে আসবে না’। (মুসলিম ২৬৯২)
বিভিন্ন ধরনের দুআ ও যিকির এবং তার ফযীলত সম্পর্কে অসংখ্য হাদীস রয়েছে। এতক্ষণ আমরা কেবল প্রসিদ্ধ ও শ্রেষ্ঠ কিছু দুআ নিয়ে আলোচনা করলাম। এগুলো ছাড়াও অসংখ্য দুআ ও যিকির রয়েছে। উদাহরণত আবু মূসা আশআরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেন, ‘আমি কি তোমাকে জান্নাতের একটি ভাণ্ডারের পথ দেখিয়ে দিবো না’? আমি বললাম, জ্বী ‘আল্লাহর রাসূল অবশ্যই দিবেন’। তিনি ললেন, ‘বলো- লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’। (বুখারী ৪২০২, মুসলিম ২৭০৪)
আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার’ বলা আমার কাছে পৃথিবীর সবকিছুর থেকে প্রিয়’। (মুসলিম ২৬৯৫)